এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের নিয়োগ পরীক্ষায় এই প্রশ্ন টি করা হয়। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল (Strategy) গুলো কি কি ?
ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে ঋণের কিস্তি, সঞ্চয় ও ডিপিএস এর টাকা বকেয়া পড়া একটি কমন বিষয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উচিৎ বকেয়া আদায়ের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করা। বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বকেয়া তো কমেই না, আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমে বকেয়া আদায়ে যে সকল ভুল পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় তা নিম্নে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো।
১. চলতি বকেয়া রোধে বিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বকেয়া পড়ার সাথে সাথেই যথা সম্ভব দ্রুত আদায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ।
২. বকেয়ার তথ্য গোপন করা যাবে না। বকেয়ার তথ্য গোপন করলে প্রতিষ্ঠানের বকেয়া আরও বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হবে।
৩. কর্মীর পকেট থেকে বা কর্মীর ব্যাক্তিগত টাকা থেকে বকেয়া আদায় করা যাবে না। কর্মীর পকেট থেকে বকেয়ার টাকা দিলে বকেয়া আরও বৃদ্ধি পাবে, কারন যে টাকা কর্মী পকেট থেকে দিয়েছেন সেটি আদায় করতে গিয়ে তার নিয়মিত কাজ সঠিক ভাবে করতে সমস্যায় পড়বেন। ঐ কর্মী ছাড়া অন্য কারও ঐ বকেয়া আদায়ের বিষয়ে গুরুত্ব থাকবে না। সদস্যদের সাথে কর্মীর ব্যাক্তি গত লেনদেন হওয়ার কারনে প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের সম্ভাবনার পরিবেশ তৈরী হয়।
৪. এক সদস্যর টাকা দিয়ে অন্য সদস্যর টাকা আদায় করা যাবে না। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরী হবে এবং বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের পরিবেশ তৈরী হবে।
৫. রিশিডিউল করে বকেয়া আদায় না করা। রিশিডিউল করলে ঋণ গ্রহীতা হাতে টাকা না পাওয়ার করনে নতুন ঋণ নিয়ে আবারও সমস্যা তৈরী হবে।
৬. ঘন ঘন সঞ্চয়ের সাথে বকেয়া সমন্বয় করে বকেয়া কমানো, বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল।
৭. কর্মীদের অবাস্তব বকেয়া আদায়ের টার্গেট প্রদান করা, বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল। টার্গেট বাস্তব ধর্মী হওয়া উচিৎ।
৮. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের বকেয়া আদায়ে যথেষ্ঠ গুরুত্ব না দেওয়া এবং অন্যবিধ কর্মকান্ডে অধিক জড়িত থাকা।
৯. বকেয়া পড়ার জন্য কর্মী/ শাখার কর্মকর্তাদের একতরফা ভাবে দায়ী করার প্রবণতা।
১০. বকেয়া আদায়ের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরী না করা এবং সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দৃঢ় কমিটমেন্ট না থাকা।
১১. বকেয়া আদায়ে কর্মীদের সফলতাকে মূল্যায়ন না করা।
১২. বকেয়ার জন্য সদস্যর দায় কর্মীর উপর দিয়ে দেওয়া যাবে না।
১৩. কর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে বকেয়া আদায় কমে যেতে পারে।
১৪. বকেয়া আদায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান না করা।
১৫. বেকেয়া পড়ার প্রকৃত কারণ না জেনে কর্মীকে একতরফা ভাবে চাপ প্রয়োগ করা, বকেয়া আদায়ের ভুল কৌশল।
বকেয়া আদায়ের বাস্তব সম্মত একটি পরিকল্পনা থাকতে হবে। ঐ পরিকল্পনা অনুযায়ী বকেয়া আদায় করতে হবে। উপরে উল্লেখিত ভুল গুলো বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে করা যাবে না। প্রতিষ্ঠাণ ঝুকিতে পড়ে যেতে পারে।
এনজিও নিয়োগ পরীক্ষার আরও একটি কমন প্রশ্ন- ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানে বকেয়া পড়ার কারন ও রোধ করার কৌশল
উত্তর এর জন্য এই ভিডিওটি দেখুন-