ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে রুরাল ব্যাংক স্থাপন :
রাষ্ট্রে উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্তের যেমন সামাজিক, নাগরিক ও ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে ঠিক তেমনি দরিদ্র বা সমাজে পিছিয়ে পড়া ও পিছিয়ে রাখা মানুেষেরও সমান অধিকার রয়েছে। ধনী মানুষের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে তেমন সমালোচনা না হলেও গরিব মানুষের ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান নিয়ে না বুঝেই অনেকেই সমালোচনা করেন। যারা সমালোচনা করেন তারা কি জানেন, প্রতি বছর কত শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাতে পরিনত হচ্ছেন বা জিডিপিতে ক্ষুদ্র ঋণের অবদান সম্পর্কে। মাইক্রোফিন্যান্স ইনিষ্টিটিউটগুলোর এই সাধারণ অবদান গুলোর স্বীকৃতি তাদের অবশ্যই প্রাপ্য।
গরীব মানুষ প্রচলিত ব্যাংকের কাছে যেতে পারে না বা ব্যাংক গরীব মানুষের কথা চিন্তাও করে না। গরীব মানুষের কাছে মাইক্রোফিন্যান্স ইনিষ্টিটিউটগুলোই হচ্ছে তাদের ব্যাংক। এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই গরীব মানুষের কাছে যায় এবং আর্থিক সেবা প্রদান করে।
এই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে রুরাল ব্যাংকিং সেবা প্রদানে সক্ষম । তাই এ সকল প্রতিষ্ঠানকে মূল ধারার ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এর মূল কারন হলো ক্ষুদ্র ঋণ শুধু অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করে নি মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি গড়ে তুলেছে। বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণের অধিকতর সম্প্রসারণ ও উপযোগিতা বৃদ্দির জন্য রুরাল ব্যাংকিং এর বিকল্প নেই।
– learnmicrofinance.com