Home Mf Basics ঋণের সার্ভিস চার্জ (Interest rate) কি ? সমহার পদ্ধতি (Flat Method) ও...

ঋণের সার্ভিস চার্জ (Interest rate) কি ? সমহার পদ্ধতি (Flat Method) ও ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতি (Declining or Reducing Balance Method)

178
সার্ভিস চার্জ
ঋণের সার্ভিস চার্জ interest rate

ঋণের সার্ভিস চার্জ (Interest rate) কি ?

সার্ভিস চার্জ হলো কোন ক্ষুদ্রঋণ  প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে উহার ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদেয় পূর্ব নির্ধারিত হারে আর্থিক বিনিময় মূল্য। সার্ভিস চার্জ আসল অর্থের সাথে নগদে প্রদেয়।

সমহার পদ্ধতি ( Flat Method)

এ পদ্ধতিতে, বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণকে সার্ভিস চার্জের হার দ্বারা গুণ করে ১০০ দিয়ে ভাগ করা হয়।

 সূত্র- আসল টাকা X সার্ভিস চার্জের হার / ১০০ = সার্ভিস চার্জ

এক্ষেত্রে (আসল+সার্ভিস চার্জ)  কে কিস্তির সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে কিস্তির পরিমাণ নির্নয় করা হয়।

উদাহরন:

যদি সার্ভিস চার্জের হার ১২.৫০% হয় এবং

১০০০ টাকা ঋণ বিতরণ হয়,

যা ৪৫ টি কিস্তিতে  আদায় হবে।

তাহলে অংকটি হবে নিন্মরুপ :-

  • সার্ভিস চার্জ কত ?

উত্তর- (১০০০ X ১২.৫০) / ১০০ = ১২৫

= তাহলে ১০০০ টাকার সার্ভিস চার্জ হবে ১২৫ টাকা

  • আসল ও সার্ভিস চার্জ সহ কত ?

উত্তর- ১০০০+১২৫= ১১২৫

= তাহলে আসল ও সার্ভিস চার্জ সহ ১১২৫ টাকা

  • কিস্তির পরিমান কত ?

উত্তর – ১১২৫/৪৫= ২৫

= প্রতিটি কিস্তির সংখ্যা হবে ২৫ টাকা।

ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতি (Declining or Reducing Balance Method)

এ পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহীতার হাতে কোন নির্দিষ্ট সময় প্রকৃত পক্ষে যে পরিমাণ ঋণের টাকা থাকে কেবল তার উপরই সুদ হিসাব করা হয়। যখন কোন ঋণ গ্রহীতা নির্ধারিত কয়েকটি সমান কিস্তিতে তার ঋণ পরিশোধ করে, তখন প্রতিটি কিস্তি প্রদানের সাথে সাথে তার আসল ঋণের স্থিতি কমতে থাকে এবং তার সুদও কমতে থাকে।

                 ঋণ স্থিতির পরিমান X সুদের হার   (ঋণ স্থিতি যতদিন)

সূত্র : মোট সুদ = —————————   X  ——————–

                               ১০০                              ৩৬৫

উদাহরণ:

রহিমা ১ জানুয়ারী/২২ তারিখে বার্ষিক ২০% সুদে এক বছরের জন্য ১০০০০ টাকা ঋণ নিয়েছে। সে ১০ কিস্তিতে সুদআসলে ঋণটি পরিশোধ করবে এবং Declining Method এ তার সুদ ধার্য করা হবে । এ ক্ষেত্রে যে ভাবে তার সুদ ধার্য করা হবে তা নিম্ন রুপ।

এক মাসের জন্য সুদ –

১০০০০ x ২০ (সুদ হার)           ৩১ (মাস ৩১ দিনে)

———————–   x  ————————

    ১০০                                     ৩৬৫

           ২০০০০০           ৩১

=      ————-    x     ———

             ১০০                    ৩৬৫

=  ২০০০ x ০.০৮৫

= ১৭০

সুতরাং জানুয়ারী/ ২২ মাসে সুদ হবে ১৭০ টাকা।

অনুরুপ ভাবে প্রতি মাসে সুদ নির্ণয় করতে হবে।

আরও একটু বুঝিয়ে বলি, এখানে ঋণ গ্রহীতা যদি জানুয়ারী/ ২২ মাসে আসল টাকা ১০০০ ও সুদ ১৭০ টাকা প্রদান করে তাহলে ফেব্রুয়ারী/22 মাসের হিসাবটা হবে নিম্ন রুপ-

৯০০০ x ২০ (সুদ হার)    ২৮ ( জানুয়ারী মাস ২৮ দিনে)

———————– x ——————————

  ১০০                                       ৩৬৫

             ১৮০০০০                     ২৮

=      —————-    x   ——————-

             ১০০                          ৩৬৫

=  ১৮০০ x ০.০৭৭

= ১৩৯

সুতরাং ফেব্রুয়ারী / ২২ মাসে সুদ হবে ১৩৯ টাকা।

এখানে প্রতি মাসে আসল ও সুদের টাকা পরিশোধ করলে আসল ও সুদের টাকা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।

আশা করি অনুরুপ ভাবে আপনারা প্রতি মাসের সুদ বের করতে পারবেন । ঋণ কর্যক্রমের নিয়োগ বা প্রমোশনের পরিক্ষায় এই বিষয়ে প্রশ্ন আসলে উত্তর দিতে পাবেন।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যদি সপ্তাহে পরিশোধ করতে হয় তাহলে কিভাবে হবে ? এর উত্তর হলো যতদিন ঋণ গ্রহিতা টাকা রাখবেন তত দিনের হিসাব বের করতে হবে। যেমন – যদি ৭ দিন হয় তাহলে ফেব্রুয়ারী/২২ মাসে যেখোনে ২৮ লেখা আছে সেখানে ৭ দিতে হবে। এভাবেই প্রতি সপ্তাহে হিসাব করতে হবে। কেউ না বুঝে থাকলে কমেন্টে লিখবেন।

আরও বিস্তারিত বুঝতে ভিডিওটি দেখুন –

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

error: Content is protected !!